জীবনের গল্প
আমি 2014 সানে যখন হাকিমপুর ডিগ্রি কলেজে ভর্তি হই। তখন কলেজে নতুন জীবন শুরু হয। কলেজের প্রথম ক্লাস করতে গিয়ে কলেজে দেখলাম ক্লাস রুম ভর্তি ছাত্র ছাত্রি সংখায় প্রায় 300 জন ছাত্র ছাত্রি আমি তখন 8 নং বেন্সে বসা মনোযোগ সহকারে ক্লাস শেষ করলাম এইভাবে প্রায় 7 দিন ক্লাস করলাম। এখন কিছু ছাত্রে সঙ্গে বন্ধুত্ব হলো। এখন কিছু কিছু বন্ধুরা বলতেছে সবাইরি একটা করে গার্লফ্রেন্ড দরকার। তাই সবাই নিজেদের জন্য গার্লফ্রেন্ড খুজতে লাগলাম সবাই তাদের গার্লফ্রেন্ড পছন্দ করলো কিন্তু আমি আমার গার্লফ্রেন্ড পছন্দ করতে পারলামনা। তখন আমি বন্ধুদের পছন্দের মেয়েদের সঙ্গে যোগাযোগ করে বন্ধুদের লাইন করে দিতাম তাদের প্রেমের মধ্যে গন্ডগল হলে সমাধান করে দিতাম। এভাবেই আমার জীবন চলতে লাগলো এর মধ্যে আমি মনেমনে একটা মেয়েকে নছন্দ করে রেখেছি। ক্লাসের সময় তার দিকে তাকিয়ে থাকতাম R মনেমনে ভাবনার জগতে ডুবিয়ে থাকতাম। মেয়েটির আক্রিতি দেখতে অনেক সুন্দর চুলগুলো কেকড়ানো। নাক চেপ্টা চোখ গুলো কাজল কালো ঠোট গোলাগি সুন্দর চেহারার অধিকারি। ক্লাসে তার দিকে তাকিয়ে সময় কাটতো। একদিন ক্লাস শুরুর আগে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেওয়ার সময় মেয়েটি বললো এই ছেলে শুনো অমি বুঝতে পারলাম আমাকে ডাকতেছে।
তখন আমি আমার পাশে থাকা ব্ন্ধুকে বললাম এই তোকে ডাকতেছে বন্ধু বললো আমাকে ডাকতেছো তখন মেয়েটি বললো না ঐ ছেলেকে। তখন আমাকে দেখিয়ে দিল। তখন আমি অনেক ভয়পেয়ে গেছি বুকের ভিতর ধক,ধক করছে। মেয়টি আমাকে বাহির ডেকে নিয়ে গেলো। আমার দিকে তাকিয়ে হেসে বললো তুমি আমাকে চেনো আমি বললাম না।সে বললো তোমার কথা আমার খালা বলেছিল তোমার আক্রিতির কথা বলেছিল। তখন আমি ধারনা করলাম তুমি হবে। আমি বললাম হ্যা আমিই সেই ছেলে। মেয়েটির খালা হলো আমাদের গ্রামের দূরসম্পর্কে দাদি। মেয়েটির খালা। তার খালা আমাকে বলেছিল আমার ভাগনি ও কলেজে পড়ে তুই চিনিছ আমি বললাম হ্যা। মেয়েটির সাথে কলেজে এই কথাগুলোই হচ্ছিল। সেইদিন আমাকে অনেক খুশি খুশি লাগেতছিল। পরের দিন কলেজে গেলাম, মেয়েটি আমাকে দেখে দূরথেকে বললো তুমি কেমন আছো। আমি বললাম ভালোআছি। এইভাবে প্রতিদিন মেয়েটি আমাকে বলতে লাগলো। এই রকম করে আমাদের বন্ধুত্ব হয়ে গেলো আমরা ক্লাসের সময় একই টেবিলে দুজন বসে ক্লাস করতাম। আমাদের ব্ন্ধুত্ব জোরালো হলো। মেয়েটির টানে আমি প্রতিদিন কলেজে জাইতাম জানিনা এটাকেই কি ভালোবাসা বলে? মেয়েটি একদিন কলেজে না আসলে কলেজ কে অর কলেজ মনে হয় না। এতদিন সাহস করে তার ফোন নাম্বারটাও চাইতে পারিনি। আজকে সুজুগ পেয়েছি আমি বললাম তুমি কালকে কলেজে আসনি কেনো সে বললো আমার বাসায় কেউ ছিলনা তো তাই। আমি বললাম তোমার ফোন নাম্বার টা দাও। আমার তো ফোন নাই আমার দাদির নাম্বার টা নেও আর আজকে সন্ধায় ফোন দিও।আমি সন্ধায় ফোন দেইনি মেয়েটি আমাকে ফোন দিয়ে বললো। তোমার না অমাকে ফোন দেওয়ার কথা ছিল। আমি বললাম হ্যা আমার তো মনেনেই। প্রতিন কলেজে দেখা হয় আর মাঝেমাঝে ফোনেকথা হয়। এ ভাবে এক বছর চলেগেলো। কিন্তু আমি বুঝতে পারতে ছিলাম না যে এটা কেই কি ভালোবাসা বলে।
আমি মাঝেমাঝে তাকে স্বপ্নে দেখি। তখন চলতেছিলো কলেজে টেষ্ট পরিক্ষা।পরিক্ষা দিয় বের হয় তার জন্য অপেক্ষা করতে ছিলম।মেয়েটি বর হয়ে এসে বললো। তোমাকে আমার বাড়ি যেতেহবে। আমি বললাম কেনো সে বললো আমি খালার কাছথেকে শুনেছি তুমি নাকি এলেকট্রিকের কাজ করতে পারো আমি বললাম হ্যা। সে বললো আমার বাড়িতে একটা লাইনের সমস্যা আমি বললাম আজকে না অন্যদিন সে বললো আজকেই যেতে হবে। আমি বললাম ঠিক আছে চলো। এর পর আমি আমার সাইকেলে করে মেয়েটিকে তার বাসায় নিয়ে গেলাম। তাদর বাসায় যাওয়ার পর আলটি কে ছালাম দিলাম এর পর আনটি আমাদের কে একটা রুমে বসতে দিল আমরা দুজনে বসলাম এর পর বেডের দুপাশে দুজন শুয়ে কশ্চিন দেখতেছি আর ধরা ধরি করতেছি যে কার কয়টা প্রশ্ন হয়ছে। তার পর আনটি এসে বললো খাবার টেবিলে আসো খাওয়া দাওয়া করো আমি বললাম না আমি খাবোনা আনটির অনেক জোরাজুরির কারনে খাবার টেবিলে গিয়ে বসলাম। মেয়েটি টেবিলের এক পাশে আমি অপর পাশে মুখোমুখি বসেছি।
আনটি আমাদের কে ফ্রিজ থেকে তরমুজ, আপেল, আংগুর,কমলা, বিস্কিট, চানাচুর ইত্যাদি। খেতে দিল একটা প্লেটে। আমি ও মেয়েটি 2–3 টি তরমুজ খেয়ে দুজনেয় বললাম আমরা এতো খেতে পারবো না আনটি বললো সবটুকু খেয়ে উঠতে হবে। সব খাওয়া শেষে শুধু আংগুর রয়ছে। আনটি বললো এখন আংগুর গুলো খাও বলে আনটি চলে গেলো আমি ও মেয়েটি আংগুরের থোরা থেকে একটা একটা করে আংগুর ছিরে ছিরে খাইতেছি অবশেষে দুইটা আংগুর রয়েছে দুজনে দু দিকে টানতেছি আর দুজনের দিকে তাকিয়ে হাসতেছি।
আনটি আসলো ভাত নিয়ে আমরা বললাম পেট ভরে গেছে খাবোনা। তিনি বললেন অল্প করে খাও বলে। মাছ,ডিম,মাংশো, সবজি,ডাল। খারা খাওয়ার পর কিছুখন রেস্ট করনাম এর পর বললাম আনটি কি নষ্ট হয়ছে। এই বোর্ডটিতে কি যেনো হয়ছে। আমি বললাম টেষ্টার লাগবে তিনি এনে দিলেন। আমি বোর্ডটি খুলে দেখলাম এটা আর ঠিক হবেনা একবারে নষ্ট হয়েগেছে। এরপর আমি আনটির বাসাথেকে মেয়েটিকে নিয়ে আবার সাইকেলে করে আমি তার বাবার বাসায় রেখে আসলাম। এখান হলো মেয়েটির কিছু কথা বলি। আমি যেখানে খাওয়া দাওয়া করলাম ঐটা ছিল তার মায়ের বাড়ি আর সাইকেলে করে রেখে আসলাম বাবার বাড়ির গেটের সামনে। করন। মেয়েটির বাবা প্রথমে মেয়টির মাকে বিয়ে করে মেয়েটির মা কে তার বাবা তালাক দিয়েছে। এইভাবে চলতে থাকে আমার লাভ স্টরি এইভাবে প্রায় 4–5 মাস চলেগেলো এর পর মেয়েটি আমাকে হঠাৎ বললো আজকে আমি তোমার সাথে যাবো। আমি বললাম কোথায় সে বললো খালা বাড়ি। মেয়েটিকে ছাইকেলে করে আমি আমার বাড়িতে নিয়ে আসলাম আমার মায়ের সাথে পরিচয় করে দিলাম আমার বাড়িতে কিছুখন থাকার পর আমার বাড়ির পাশে ছিল ওর খালার বড়ি তাকে খালার বাড়ি নিয়ে গেলাম এভাবে সময় কাটানোর পর আমার বাড়িতে নিয়ে আসলাম দুপুরের খাবার খেতে মেয়েটি আসাতেই মাকে ভালোভলো রান্না করতে বলেছিলাম
মা বিরানি মাংস মাছ ও ডিম রান্না করেছে মেয়েটিকে আমি নিজেই খাইতে দিচ্ছিলাম আমি বিরানি দুটো প্লেটে দিলাম মংসো দিলাম আর বললাম খাও মেয়েটি বললো আমার পেট ভরা আছে আমি খাবনা। আমি বললাম আমাকে অনেক খুধালেগেছে তুমি না খেলে আমিও খাবোনা মেয়েটি না আমার পেট ভরা আছে আমি বললাম সামান্য একটু খাও। মেয়েটি রাজি হলো থালা হাতে নিয়ে মাকতে শুরুকরলো প্রথমে খবার টি নিজে না খেয়ে বললো এই নাও তুমি খাও আমি বললাম না তুমি খাও মেয়েটি জোর করে আমার মুখে খাবার খাইয়ে দিল এর পর নিজে খেতে শুরু করলো। আমি তখন লাজুক ছিলাম আমি মেয়েটিকে খাওয়াতে পারিনি। এরপর বৈকাল বেলা মেয়ে টিকে বাসায় রেখে আসলাম। সেই দিন থেকে আমার মনের মধ্যে যে কি হলো আমিও আমি নিজেও জানিনা মনের মধ্যে শুধু তারি চিন্তা উঠতে বসতে খাইতে ঘুমাতে তারি চিন্তা মনের মধ্যে ঘুর পাক খাচ্ছে। এ ভাবে 15 দিনের মতো গেলো। কিছুতেই আমি তাকে ভুলে থাকতে পারিনা। একদিন সিদ্ধান্ত নিলাম। মেয়েটিকে আমি ভালো বাসার কথা বলবো। এভাবে 3 দিন চেষ্টা করে যাচ্ছি কিন্তু বলতে পারতেছিনা। চতুর্থ দিনের মাথায় কলেজ বন্ধ দিলো 15 দিন বাসয় আর সময় কটতেছেনা অনেক কষ্টে 15 দিন কাটালাম। মেয়েটিকে ফোন দিয়ে বললাম আজকে তোমাকে কলেজে আসতেই হবে বলতেছে কনো। আমি বললাম আমার জন্য আসতেই হবে। অনেক বার বলার পর মেয়েটি বললো আচ্ছা ঠিক আছে আমি যাবো।
পরের দিন ছিলো 06/01/2016 ইং এই দিনে আমি বাজার থেকে একটা গোলাপ ফুল নিয়ে সকাল সকাল কলেজে গেলাম।আর মেয়েটির অপেক্ষায় থাকলাম। কিছুখন পর মেয়েটি কলেজে আসলো আর আমাকে বললো কেমন আছো আমি বললাম ভালো আছি সে বললো আমাকে কেনো ডেকেছো। আমি বললাম উপরে চলো আমরা দুজনে কলেজের দু তলায় উঠলাম আমি যে কিভাবে মেয়েটিকে ভালোবাসার কথা বলবো তা চিন্তা করতেছি। মেয়েটি বললো কি বললবে বলো আমি বাসায় চলে যাবো। তোমার কথা শুনার জন্যই আমি কলেজে এসেছি তাছারা আসতামনা। আমি বললাম আমি কি বলতে চাচ্ছি তোমার মনে কোনা ধারনা জন্মায় নাই, মেয়েটি বললো না তুমি আমাকে কি বলবে তারাতারি বলো। আমি বলতেছি একটা সর্তআছে বললো কি আমি বললাম আমি কথাটা বলার পর তুমি আমার বন্ধুত্ব ছিন্ন করতে পারবেনা। সে বললো ঠিকআছে আমি বললাম তাহলে শোনো আমি [তোমাকে ভালো বাসি] আর এই কথাটি তোমাকে না বলা পযুন্ত আমি ভালোভাবে লেখাপড়া করতে পারতেছিনা। তুমি কি বলতেছো বলো। মেয়েটা বললো এটা সম্ভব না রে। আমি বললাম কেনো হবেনা। বলো পারলে কিছুখন ভাবো তার পর বলো। তখন দুজনে নিরবতা পালন করলাম। এর পর আমি বললাম কি হলো মেয়েটি বললো। আচ্ছা আমি রাজি তবে তুমি ভালো রেজাল্ট করো। তখন আমি মেয়েটিকে গোলাপ ফুল দিলাম।
আর বললাম i love you সে ফুলটি গ্রহন করলো। আর বললো আজকে সন্ধায় ফোন দিও। বলে মেয়েটি বাসায় চলেগেলো আর আমিও বাসায় চলে আসলাম আর আমি সেদিন যে এতো খুশি ছিলাম যা আগে কখনো হই নি। সন্ধায় ফোনে কথা হলো তখন আমি অনেক খুশি। এর পর 20/01/2016 ইং তারিখে ছিলো মেয়টির জন্মদিন তার জন্মদিন উৎযাপন করার জন্য আমি মেয়েটিকে কলেজে আসতে বলেছি। আমি আমার গার্লফ্রেন্ড এর জন্য গিফ্ট কিনলাম। একটা হাত ঘড়ি, 3টি গোলাপ,আর হাপকেজি মিষ্টি নিয়ে কলেজ আসলাম। মনোবিজ্ঞান ল্যেবে আমরা দুজনে দেখা করলাম। ওর জন্মদিন উপলক্ষে তার হাতে হাতঘড়ি দিয়ে দিলাম ও 3টি গোলাপ ফুল দিলাম ও Happy brith day to you বললাম। এর পর মিষ্টি হাতে নিয়ে তার মুখে তুলে দিলাম। মেয়টিও একটা মিষ্টি আমার মুখে তুলে দিলেন। এভাবে গার্লফ্রেন্ড এর জন্ম দিন পালন করলাম।
এভাবে কিছুদিন চলেগেলো তার পর 14/02/2016 ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা দিবস। এর দিন আমি একটা গোলাপ 30 টাকা দিয়ে নিয়ে গার্লফ্রেন্ড কে দিলাম। এর পর 18/02/2016 তারিখে বললো আমাকে সমপাপরি খাওয়াবে আমার অনেক প্রিয়। আমি বললাম হ্যা বলে একটা সমপাপরি আর চামুছা সিংগাড়া মিলে 150 টাকা মাঝে মধ্যে মোবাইল রিচার্জ করে নিয়েছে 250 টাকা। একদিন হাবলাত নিয়েছে 300 টাকা। 17/03/2016 মেয়েটি আমাকে I love you বলেছে। আবার 07/04/2016 100 টাকা হাবলাত নিয়েছে।
শারি কেনার জন্য আমার কছথেকে 19/06/2016 1000 টাকা নিয়েছে। 01/07/2016 ছায়া ব্লাউজ কেনার জন্য 400 টাকা নিয়েছে। মেয়েটি যেখানে প্রাইভেট পড়েছে সেখানে সবাই পিকনিকে যাবে তখন আমার গার্লফ্রেন্ড এর টাকা ছিলো না। তাই আমার থেকে 300টাক হাবলাত নিনেছে। পিকনিকে যাবে জুতা নাই আমার পায়ের লুপুর হারিয়েছে আমি ডাড়িতে আর টাকার কথা বলতে পারবোনা বলে আবার 300টাক নিয়েছে। এডমিট কার্ড ফটোকপি করেছি 10টাকা। আমাকে একটা কেলেন্ডার কিনেদাও। অনেক বাহানায় আমার কাছথেকে প্রায় 5000+ টাকা নিয়েছে। দুঃখের বিষয় হলো আমার গার্লফ্রেন্ডের গ্রামে আমার একটা বান্ধবি ছিল সে আমাকে ফোনে বলে তোল গার্লফ্রেন্ড এর বিয়ে হচ্ছে। তখন আমি মেয়টিকে ফোন দিলাম বললাম তোমার নাকি বিয়ে হচ্ছে মেয়েটি বললো না এমনি দেখতে এসেছিলো। আর আমি পরেদিন শুনি মেয়েটির বিয়ে হয়েছে। 11/09/2016 এর পরো মেয়েটির সাথে আমার আজো দেখা হয়। কিন্তু আমি একবারো বলিনি যে তুমি জেটা করেছো তা ঠিক করো নি। এই ছিলো আমার জীবনের গল্প জানিনা আপনাদের কেমন লাখলো আবারো 2য় পর্বে দেখা হচ্ছে বাই বাই।
Originally published at https://zebonergolpo.blogspot.com.
মন্তব্যসমূহ